ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করবেন যেভাবে?
এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিলান্সিং একটি জনপ্রিয় আয় এর উৎস। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব? আপনাদের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন করেন যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য সহজ না হলেও শেষ কঠিন না তবে নির্দেশনা এবং অধ্যায় বছরের সাথে সাথে এর মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে যে কেউ সফল হতে পারে। এই লেখায় আমরা জানাবো যে কোন স্কেল সেই বেন এবং কোথা থেকে শিখবেন কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন কিভাবে ফিন্যান্স এন্ড ক্যারিয়ার শুরু করবেন সেগুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সূচিপত্রঃ
💻 ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে কোন স্কেল শিখবেন?
ফ্রিলান্সিং শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে কোন স্কেল আপনার জন্য উপযুক্ত। আপনি কোন কাজ করবেন নেটের উপর নির্ভর করবে আপনার কোন স্কিল কিভাবে দরকার হবে। আর তাই সে ক্ষেত্রে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো- এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা নির্ভর করে আপনি কোন কাজ শিখতে চাচ্ছেন এবং তার ওপর নির্ভর করবে যে কিভাবে আপনি শুরু করবেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় স্কিল দেওয়া হল যেগুলোর চাহিদা বিশ্বব্যাপি অনেক হারে বেশি। তা হলো:-
- গ্রাফিক্স ডিজাইন: ব্যানার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন করা শিখতে পারেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং: Facebook ads, SEO, Google ads, email marketing ইত্যাদি বিষয়ের উপর আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
- ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: HTML, JavaScript, CSS, Woordpress শিখে ওয়েবসাইট তৈরি করা।
- ভিডিও এডিটিং: ইউটিউব ভিডিও এবং তার সাথে প্রমোশনাল ভিডিও এডিট করা।
- কন্টেন্ট রাইটিং: কপি-রাইটিং, ব্লক লেখা, স্ক্রিপ্ট লেখা ইত্যাদি।
আপনি আগ্রহ বা দক্ষতা অনুযায়ী স্কেল বেছে নিতে পারেন তবে মনে রাখতে হবে যে স্কেল ছাড়াও ফিন্যান্সিং যাত্রা শুরু করা যায় অসম্ভব কিছু না। তাই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো- এই প্রশ্নের প্রথম উত্তর হল আপনি দক্ষতা অর্জন করুন দক্ষতা অর্জন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পারেন এর পাশাপাশি আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন যেগুলো আপনার ভার্চুয়াল জগতে অনেক ধরনের সহযোগিতা করবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি করবেন কি করবেন লোগো, পোষ্টার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজাইন ব্যানার তৈরি করবেন। এবং Adobe Photoshop, canva এগুলো ব্যবহার করে আপনি ক্রাটেস্ট ডিজাইন এর কাজ করুন। আপনাদের মধ্যে যাদের ডিজাইন এবং আর্ট তৈরি করার আগ্রহ আছে তারা আর মাত্র এগুলো কাজ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি আপনি এগুলো শিখতে পারবেন এবং সেগুলো অনুযায়ী আপনি ভালো মানের একটি আর্ট তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনের এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আপনি শেখার পাশাপাশি আপনি ওয়েব তৈরি করা কাস্টমার করা সকল বিশেষ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি এসিও ইমেইল মার্কেটে google এডস এদের জন্য ভালো মার্কেটিং এবং ডাটা এন্ট্রি হিসেবে সমগ্র আছে কিনা তা যাচাইগুলো অনুযায়ী কাজ করুন।
ভিডিও এডিটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার গুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের জন্য কাজ পাওয়া যায়। কনটেন্ট রাইটিং ভাষা জ্ঞান ভালো ভালো বুঝতে হলে অবশ্যই ব্লগ লেখালেখি কপিরাইটিং এবং সেটা শিখতে হবে এক্ষেত্রে ইংরেজি এবং বাংলা দু ভাষায় কাজ পাওয়া যায়। ইংরেজি এবং বাংলা দুই ধরনের কাজের বিভিন্ন ধরনের মূল্য রয়েছে এখানে আপনাকে অনেক টাকা অফার করে কাজ দেবে তারা আপনি যেগুলো খরচ করে দিলে টাকা পেয়ে যাবেন।
💻 কোথা থেকে শিখবেন ফ্রিলান্সিংয়ের প্রয়োজনীয় স্কিল কি?
আপনি যখন ভাবছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব, পরের ধাপে ধাপে তা কোথা থেকে শেখা শুরু করবেন সেটি আপনার জানা জরুরী এবং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব সেটি আমরা তুলে ধরেছি৷ জানতে হবে যে বর্তমানে অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি বিনামূল্যে অথবা কিছু নিয়মে শেখার সুযোগ সুবিধা পাবেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় শেখার মাধ্যম দেওয়া হলো-
- ইউটিউব: ইংরেজিতে এবং বাংলায় প্রচুর পরিমাণে ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড পাওয়া যায় সেগুলো আপনি দেখে দেখে সেগুলো থেকে আপনি শিখতে পারেন।
- বেশ কিছু জনপ্রিয় প্লাটফর্ম: বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে জনপ্রিয় মাধ্যম থেকে আপনি সেখান থেকে শিখতে পারেন। তার ভিতরে অন্যতম হলো- নেট, টেন মিনিট স্কুল, অনলাইন কোর্স বিডি, লার্ন উইথ সুমিত ইত্যাদি।
- উডেমি, কোর্সার বা স্কিলশেয়ার: এই সাইট গুলোতে প্রপোসনাল কোর্স পাওয়ার যায় খুব অল্প দামে, তাই আপনি সেখান থেকেও শিখে নিতে পারেন।
- ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক গ্রুপ: আপনি অনেক স্মার্ট ফ্রেন্ড নিয়মিত থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি এখান থেকে শিখতে পারেন।
শুধু কোর্স করা যথেষ্ট নয় আপনাকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে একবার ভালোভাবে শিখে ফেললে আপনি তখন আপনার মত করে ফেলেছেন যাত্রা শুরু করতে পারবেন। একবার যদি আপনি ভালোভাবে শিখে ফেলেন তখন আপনার মনে হবে যে- ফ্রিলান্সিং কিভাবে শুরু করব? এই প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই জানেন।
💻 কোন ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
স্কিল শিখে নেওয়ার পরে আপনার কাজ হবে কাজের জায়গা খোঁজা। এ পর্যায়ে এসে আবার মাথায় আসে যে পুরনো প্রশ্ন- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো? সে ক্ষেত্রে ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বা ফ্রিলান্সিং সাইটের নাম দেওয়া হল:
- Fiverr: এখানে কেক তৈরি করে ক্লায়েন্টদের কাছে আপনি আপনার সার্ভিস অফার করতে পারেন।
- upwork: এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিলান্সিং সাইট। এখানে একটা প্রোফাইল তৈরি করে কাজের জন্য বিট করতে হয়।
- Freelancer.com: এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর বিট করার সুযোগ- সুবিধা পাওয়া যায়।
- PeoplePerHour & Toptal: এটি অভিজ্ঞ ফ্রিলান্সারদের জন্য দারুন প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
প্রোফাইল তৈরি করার সময় নিজের স্কিন আপনি তুলে ধরবেন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং নমুনা কাজের সুন্দর ভাবে তুলে ধরবেন মনে রাখবেন যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব এই প্রশ্নের অন্যতম বড় উত্তর হল ভালো প্রোফাইল বানান এবং কাজের জন্য ধৈর্য ধরুন।
💻 কিভাবে প্রথম কাজ পাবেন ও ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করবেন?
ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ হলো প্রথম কাজ পাওয়া। এখানে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে কিন্তু মনে রাখতে হবে যে- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো এর প্রকৃত উত্তর হল- ধৈর্য, মানসম্পন্ন কাজ, স্মার্ট ওয়ার্ক। নিচে কিছু টিপস তুলে ধরা হলো প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য কি কি করতে হবে সেগুলো বিষয়ে:-
- ভালো প্রোফাইল তৈরি করুন: প্রোফাইল পিকচার, স্কিল, বায়ো, পোর্টফোলিও সুন্দর ভাবে সাজান।
- ফ্রি কিংবা কম দামে প্রথমে কয়েকটি কাজ করুন, এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। কম দামে প্রথমে এজন্য কিছু কাজ করুন এবং এতে আপনার মান উন্নত করুন এবং এতে আপনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করুন।
- বিট করার সময় ক্লায়েন্টের রিকুয়েস্ট মেনে বুঝে কাস্টমাইজ করে প্রস্তাব দেবেন যে ক্লায়েন্ট কি ধরনের কাজ করে নেবে তার ওপর আপনি ভালোভাবে কাটতে বিট তৈরি করবেন।
- ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন: ভালো রেডিও পেতে ভবিষ্যতে কাজে পাওয়ার জন্য সহজ ভাবে আপনি ফিডব্যাক সংগ্রহ করে নিন।
- কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ান: ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখো এবং নিয়মিত ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলুন যাতে আপনার কাজের কমিউনিকেশন স্কেল বৃদ্ধি পায়।
এভাবে মূলত এক সময় আপনি নিজেই বলবেন যে হ্যাঁ এটি এখন আমি জানি যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো এবং কিভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে সফল ভাবে কাজ করতে হয় সেগুলো সম্পর্কে আমি জানি এটি আপনার মনে হবে। তাই তখন থেকে আপনার আর কোন কাজ পাবার অসুবিধা হবে না। তাই প্রথমে ধৈর্য ধরে কাজ শুরু করুন আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে দেখবেন আপনি একসময় সফল হয়ে গেছেন।
লেখকের মন্তব্য - ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করবেন যেভাবে
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি ধৈর্য এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে আপনি সহজ ভুল হতে পারবেন সেক্ষেত্রের দরকার আপনার ধৈর্য এবং সময়। ধরতো এবং সময় যদি আপনি না দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি কখনোই এই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আর তাই আমি আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো এ প্রশ্নের পুরুষ বাস্তব আপনি উদাহরণ সহ সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। আমি আশা করব যে ধৈর্য রেখে প্লাটফর্মে কাজ শুরু করুন এবং আপনার যাত্রা আজ থেকে শুরু হোক বিশ্বাস থাকুন নিজের উপর এই মুহূর্তে আপনি সফলতার দাড় প্রান্তে অপেক্ষা করছেন।
করছি আপনি নিয়মিত কাজ করবেন এবং সকল নিয়ম মেনে সঠিক কাজ করবেন যাতে করে আপনার কাজ দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনি মনোবল হারাবেন না অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার কিছুটা সময় কাজ পেতেই হবে সে ক্ষেত্রে আপনি মনে হয় ভরাবেন না এবার থেকে যাবে যে কিছুদিনের মধ্যে আপনি এমন কাজ পাবেন যে কাজ দিয়ে আপনার কয়েক মাসের একটা ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। তাই বিশ্বাস রাখুন এবং সঠিকভাবে কাজ করুন আশা করা যায় আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফল হবেন। আপনি সঠিকভাবে কাজ করুন ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকুন আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফল হবেন। ধন্যবাদ
শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url